সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এরই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় এক চুরির মামলায় স্বামী ও স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই মামলায় পলাতক রয়েছে ভাইসহ আরও তিনজন। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তরা-পশ্চিম থানার ১২ নং সেক্টর এলাকার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থেকে চুরির মালামালসহ মোট ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়- ঋণের টাকা পরিশোধ করতে তারা এই চুরির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। গ্রেফতার দুইজন হলো- জামালপুর সদরের মোঃ জহুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন(২৫) এবং তার স্ত্রী- পটুয়াখালীর মৃত সুলতান মালের মেয়ে খুশি আক্তার(২২)।
উত্তরা-পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন, পিপিএম (বার) গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, উত্তরার ১২নং সেক্টরের ৬নং রোডের প্লট নং-১ এ মেসার্স বিসমিল্লাহ স্টোরের নামে একটি গোডাউন আছে। ঈদের দিন রাতে গুদামের তালা কেটে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৯ কার্টুন সিগারেট চুরি হয়ে যায়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জসিম, তার স্ত্রী ও অন্যান্যদের শনাক্ত করা হয়।
এরপর জসিমের দেয়া তথ্যমতে তার স্ত্রী খুশিকে তুরাগের পাকুরিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে চুরি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩ কার্টুন সিগারেট যার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ টাকা এবং সিগারেট বিক্রির ৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। তাদের কাছে থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি হেস্কো ব্লেড, একটি প্লাইয়ার্স (Pliers) উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও জানান- গ্রেফতারকৃত জসিম নিজেও একজন ব্যবসায়ী। তার মোবাইল লোডের একটি দোকান আছে।
সে জানায়- তার বিভিন্ন জায়গায় ৮০ হাজার টাকার ঋণ ছিল। এই ঋণ শোধ করতেই স্ত্রীসহ এই চুরির পরিকল্পনা করে। দুই মাস ধরে তারা এই পরিকল্পনা করে আসছিলো। ঈদের দিন মানুষজন কম থাকে তাই এই দিনকেই বেছে নেয় তারা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী জসিম ভ্যান নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। তিনজন গুদাম থেকে কার্টুন নিয়ে আসে। আর স্ত্রী খুশি বাইরে পাহারা দিয়ে সব ফোনে জানায়। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে তাদের সব ধরা পড়ে যায়। পলাতক অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।